মাদরাসাতুল মদীনা
হাদীসে পাকে বর্ণিত, আল্লাহর নবী, হুযূরে আরাবী(ﷺ) ইরশাদ করেন- خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ অর্থাৎ তোমাদের মাঝে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কোরআন শিখে এবং অপরকে শেখায়।(সহীহ বুখারী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৪১০, হাদীস-৫০২৭) চির শাশ্বত হাদীসে পাকের পবিত্র এই বাণীকে দাওয়াতে ইসলামী যেন বাস্তবায়ন করে চলেছে। আল্লাহ পাকের অসীম অনুগ্রহ যেদিন থেকে দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি কাজ শুরু হয়েছে, অরাজনৈতিক এই দ্বীনি সংগঠনটি কখনো এক মুহূর্তের জন্যও কোন কাজে পিছু হটেনি। না কখনো কোনো কাজ হ্রাস পেয়েছে। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। সারাবিশ্বে বর্তমানে দাওয়াতে ইসলামীর মোট মাদরাসাতুল মদীনার সংখ্যা হচ্ছে-৪৬৫০টি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও মাদরাসাতুল মদীনার হিফয ও নাযেরা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৫০টিরও অধিক মাদরাসাতুল মদীনা চালু রয়েছে। যেখানে দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী কুরআনে পাক ও নাযেরা অধ্যয়ন করছেন। মাদরাসাতুল মদীনা থেকে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে কুরআনে পাক নাযেরা শুদ্ধরূপে সম্পন্ন করেছেন। পাশাপাশি কয়েক শত শিক্ষার্থী কুরআনে পাকের হিফয সম্পন্ন করেছেন। বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় চল্লিশটির মতো আবাসিক এবং ৬টি অনাবাসিক এবং কতিপয় খন্ডকালীন মাদরাসা রয়েছে। বিশেষত যারা কর্মজীবী বা স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন তাদের জন্য দাওয়াতে ইসলামী এই খণ্ডকালীন মাদরাসাতুল মদীনা বিভাগটি চালু করেছে। মাদরাসাতুল মদীনার আবাসিক শাখায় শিক্ষার্থীদের ফ্রী-তে খাবার-দাবার ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।